করোনা সংক্রমণ ক্রমহ্রাসে আশার আলো

প্রকাশের সময় : 2021-11-17 15:16:52 | প্রকাশক : Administration
করোনা সংক্রমণ ক্রমহ্রাসে আশার আলো

ডাঃ আয়েশা আক্তার: ৮ মার্চ ২০২০ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলো। চীনের উহানে করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। চীনের উহান থেকে আস্তে আস্তে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের উহান থেকে যখন করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছিলো তখন নানা রকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম যেন আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে।

সেজন্য দেশের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও নৌবন্দরসহ পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমগুলো চালু করা হয়। বিমানবন্দরে টেম্পারেচার মাপা ও স্ক্যানিং কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই টেম্পারেচার মাপার জন্য পোর্টগুলোতে মেডিকেল সেন্টার বসিয়েছে। প্রতিটি জেলা- উপজেলার হাসপাতগুলোতে আইসোলেশন বেড তৈরি করা হয়েছিলো। প্রথমে পাঁচটা বেড মিলিয়ে একটা কর্নার তৈরি করা আমাদের প্রস্তুতির মধ্যে ছিলো। তারপর পিপিই ও মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। শুরুতে আমাদের এই ব্যবস্থাপনাগুলো ছিলো। পোর্টগুলোতে এন্ট্রি হওয়ার পর হিস্ট্রি নেওয়া কোন দেশ থেকে এসেছে, তাদের টেম্পারেচার আছে কিনা? সেগুলোর ডাটাবেজ তৈরি করা। যাদের তাপমাত্রা পাচ্ছিলাম তাদের আমরা ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রেখে দিয়েছি। হাজী ক্যাম্পকে আমরা কোয়ারেন্টাইনের স্থান হিসেবে নির্ধারিত করেছিলাম।

তখন চীন থেকে যারা ফেরত এসেছে তাদের হাজী ক্যাম্পে কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে। এখনো আমাদের দেশে এই ব্যবস্থাপনাগুলো আছে, কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোতে টেম্পারেচার মাপা। শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, স্বাস্থ্যের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য খাতগুলো একসঙ্গে মিলে কাজ করছি। শুধু স্বাস্থ্য সেক্টর একা এই কাজগুলো করেনি। সবাই মিলে একজোটে কাজ করি।

করোনা মোকাবেলায় সরকারের সাফল্য তো অবশ্যই আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সফল হয়েছেন। আমরা অনেক আগে করোনার টিকা পেয়েছি। অনেক দেশ এখনো করোনার টিকা পায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমরা করোনা টিকা আগে পেয়েছি এবং দেশের মানুষকে দিতে পারছি। প্রথম যখন করোনা ভাইরাস বাড়লো তখন আইসিইউ সঙ্কট ছিলো, অক্সিজেন সঙ্কট ছিলো।

পরবর্তী সময়ে সবই সরকারের পক্ষ থেকে সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে এবং মানুষ আইসিইউ এবং অক্সিজেন সেবা পেয়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতেকটি হাসপাতালে কতগুলো আইসিইউ আছে, কতোগুলো বেড আছে, ব্যবস্থাপনা কি হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। বিভিন্ন পলিসি মেকিং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করতো কিন্তু মাঠের কার্যক্রমগুলো চালানো হতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন আমাদের সিভিল সার্জন ও পরিচালকগণ এবং জেলা প্রশাসকগণ একসঙ্গে সবাই মিলে কাজগুলো করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সুপারভাইজেশনে সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে। টানা বারো সপ্তাহ ধরে নতুন রোগী কমছে।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com