নাহিদ আলম
বছর তিনেক হলো..
বাবা নামক বটবৃক্ষটি আমার কোথায় হারিয়ে গেলো
সারা জীবনের সুখ কে যেন ছিনিয়ে নিলো।।
বাবা তুমি ছিলে আমার দু 'চোখের মনি
কি শয়নে..... কি স্বপনে...
কিভাবে যে চলে গেলে আমায় করে চিরঋণী।।
তোমায় হারিয়ে বারে বারে
আজও আমি তোমাকেই খুঁজে ফিরি
এই হাসি..এই কাঁদি এই জীবন ঝড়ে।।
দু'চোখ গড়িয়ে অশ্রুঝরে
দেখলেই কোন পিতার আদর
বাবা শুধুই তোমাকে মনে পড়ে।।
জানো বাবা খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে
তোমার স্নেহ ছায়া পেতে চায় মন বার বার
যদি মিষ্টি বকুনি দিতে তোমার দুষ্টু মেয়েকে।।
আকাশের মিটিমিটি তারার দিকে তাকিয়ে
আজও তোমায় খুঁজে বেড়াই আর ভাবি
একবার যদি ধরতে আমায় দুহাতে জড়িয়ে।।
তুমি ছিলে আমার বটবৃক্ষের ছায়া
তাইতো কোন দুঃখ আমায় পারেনি ছুঁতে
চারদিক ঘিরে ছিল যে তোমার মায়া।।
যখনই ভেসে ওঠে ওই পবিত্র মুখচ্ছবিটা
ভেসে ওঠে ওই মুখের মায়াবী হাসি
হু হু করে কেঁদে ওঠে আমার অন্তরটা।।
আত্মসম্মান, মূল্যবোধ আর সততায়
তুমি ছিলে অতুলনীয়, উদার
আর ছিলে মহান, একনিষ্ঠ সর্বদায়।।
কখনো তোমায় পারিনি কিছু দিতে
যখন খুশি তখনই ধরতাম বায়না শত শত
জন্মেছিলাম তোমার কাছ থেকে শুধু নিতে।।
আত্মকেন্দ্রিক আর স্বার্থপর এই ধরণীতে
তুমি ছিলে বাবা সকল স্বার্থের বিপরীতে।।
ওই যে ওই অন্ধকার ঘরে
বাবা তুমি কেমন আছো
খুব জানতে ইচ্ছে করে।।
তাইতো বাবা জপি তোমার তরে মাগফিরা
রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।।