ইভ্যালির রাসেলকে বাটপার মনে হয় নাই

প্রকাশের সময় : 2021-12-01 14:57:45 | প্রকাশক : Administration
ইভ্যালির রাসেলকে বাটপার মনে হয় নাই

শোয়েব সর্বনাম: এই লোকটাকে ক্রিয়েটিভ ধরনের বিজনেসম্যান হিসেবে দাবি করব। গ্রেফতারের পর থেকে একটু গভীরভাবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো লক্ষ্য করলাম। রাসেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব অভিযোগ করতেছে, তার পরিকল্পনা ছিল বিদেশী কোন ইনভেষ্টরের কাছে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে দেয়া। এটা তো কোন অভিযোগ হতে পারে না।

বিদেশী কোম্পানির কাছে শেয়ার বিক্রি করা কোন অপরাধ না। শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল তার। এটাও অপরাধ না। এটাই ব্যবসার নিয়ম। কোন সন্দেহ নাই, ইভ্যালি একটা এক্সপেরিমেন্টাল প্রতিষ্ঠান। একটা নতুন আইডিয়া নিয়া কাজ শুরু করছে তারা। বাংলাদেশে আরো দুইটা এক্সপেরিমেন্টাল বিজনেস আইডিয়া নিয়া সাকসেসফুল হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের কথা বলা যাবে বিকাশ আর পাঠাও।

বিকাশ এখন রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। ব্যবসার একটা পর্যায়ে এরা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার বিক্রি করছে। পাঠাও লিমিটেডও সেইম। টোটালি এক্সপেরিমেন্টাল বিজনেস, এখন একটা বড় শেয়ার বিদেশি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে পুঁজি সংগ্রহ করছে। এই দুইটা কোম্পানিই শেয়ার বাজারে ঢুকে পরছে। সেইখান থেকেও তারা পুঁজি কালেক্ট করছে। তো, ইভ্যালি সেইটা করতে চাইলে সমস্যাটা কোথায়?

দ্বিতীয় অভিযোগ, রাসেল ইনভেষ্টর না পেলে প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দিতে চেয়েছিল। এটাও কোন অভিযোগ হতে পারে না। যে কোন প্রতিষ্ঠানই বাণিজ্যিকভাবে আর লাভ করতে না পারলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে, এটা প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রেই থাকে। এটা লিগ্যাল সিষ্টেম, ক্রাইম না। রাসেলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা তার নাই এইটাও স্পষ্ট।

বিদেশ যাওয়ার কোন হিষ্ট্রি তার পাসপোর্টে নাই। দেশের বাইরে টাকা পাচারের কোন প্রমাণ নাই। ইভ্যালির টাকা অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার কোন চেষ্টাও দেখা যায় নাই। তার একটা বিজনেস প্ল্যান ছিল। প্ল্যানটা ফেল করছে। কুয়াকাটার এক হুজুর ধর্মের নাম বেঁচে পাবলিকের সতেরো হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে, অথচ তার কোন বিজনেস প্ল্যানই ছিল না। তার উদ্দেশ্যই ছিল ধান্দাবাজি।

তার বিপরীতে ইভ্যালির রাসেল মাত্র পাঁচশ কোটি টাকার ঘাটতিতে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে। তারে ক্রিমিনাল বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ধান্দাবাজ আর ব্যবসায়ি দুইটা দুই জিনিস, মিডিয়া দুইটারে এক করে ফেলেছে। ব্যবসা করা কি ক্রাইম? সর্বোপরি, রাসেল ইভ্যালিকে যে কোনভাবে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল। সে ব্যর্থ হয়েছে, বারবার সময় চেয়েছে, তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটা সফল করে তোলা।

এর বাইরে তার আর কোন উদ্দেশ্য দেখা যায়নি। তার বিজনেস মডেলটা ফেল করছে। সে একটা নতুন আইডিয়া নিয়ে মাঠে নামছে, আইডিয়াটা ঠিকঠাক কাজ করছে না। রাসেলের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য কেউ সফল হতে পারবে না, এই কথা বলা যাবে না। বাংলাদেশে চুরি বাটপারি করে বেশ কিছু ব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল।

গভমেন্ট লোন দিয়ে ব্যাংকগুলাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকের মালিকেরা ভেগে গেল। লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়া প্রাইভেট ব্যাংকগুলাকে যদি গভমেন্ট লোন দিয়ে পুণরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করতে পারে, ইভ্যালিকে কেন নয়?

আমি অর্থনীতি বুঝি না, একদমই ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে বলছি, আমার ভুল হতে পারে, আমার কম্পারেটিভ লজিকগুলা ঠিক আছে কিনা অর্থনীতির লোকেরা ধরায়ে দিয়েন। তবে এইটুকু বুঝি, ব্যবসা একটা ক্রিয়েটিভ ব্যাপার, অন্তত এই যুগে। ক্রিয়েটিভ বিজনেসম্যানদের পাশে গভমেন্ট যদি না দাঁড়ায়, শুধুমাত্র কাপড় সেলাই করে আর দিনমজুর এক্সপোর্ট করে একটা দেশ কোনদিনও উন্নত হতে পারে না। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com