ইসলামে মানবাধিকারের গুরুত্ব সর্বোচ্চ

প্রকাশের সময় : 2021-12-01 14:58:57 | প্রকাশক : Administration
ইসলামে মানবাধিকারের গুরুত্ব সর্বোচ্চ

ইসলাম শুধু মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার কথাই ঘোষণা করেনি মানুষের কর্তব্য ও দায়িত্বের ব্যাপারেও অবহিত করেছে। আল কোরআন হচ্ছে ফুরকান তথা সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। কোরআন মানুষকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়। মানুষকে কল্যাণ ও আলোর পথ দেখায়। মানুষের অধিকার আদায়ে সত্যের পক্ষে থেকে পাপাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়। ইসলাম শুধু মানবাধিকারের রূপরেখাই পেশ করেনি, আল্লাহ তায়ালার হুকুম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তা মানার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করেছে এবং সেসব অধিকার পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করেছে। ইসলামের মানবাধিকারের সীমা এত প্রশস্ত যে পুরো জীবন এর মধ্যে এসে পড়ে। বাবা-মার হক, বন্ধু-বান্ধবের হক, শ্রমিক-মালিক এবং শাসক ও জনগণের হক, সরকারের হক, দুর্বল ও অসহায়ের হক, সাধারণ মানুষের হক ইত্যাদি।

ইসলামের আরেক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইসলাম মানুষকে অধিকার আদায়ের চেয়ে অধিকার প্রদানের বিষয়ে বেশি উৎসাহিত করেছে। ইসলাম প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গুরুত্বের সঙ্গে অন্যের হক ও অধিকার আদায়ের অনুভূতি জাগ্রত করে। কারণ কিয়ামতের দিন এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। নারীদের কি কি অধিকার পুরুষের ওপর আছে সে ব্যাপারে ইসলাম পুরুষদের সচেতন করে।

স্ত্রীদের স্বামীর হকের কথা মনে করিয়ে দেয়। ইসলাম শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য মালিককে উৎসাহিত করে। মোট কথা ইসলামে প্রতিটি মানুষকে তার ওপর অন্যের যে হক রয়েছে তা আল্লাহ তায়ালার হুকুম মোতাবেক ঠিক ঠিক আদায় করছে কি না সে ব্যাপারে সচেতন করে তোলে। এভাবে ইসলাম পুরো দেশ ও সমাজকে অধিকার প্রদানকারী হিসেবে দেখতে চায়। ইসলামের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দায়িত্ব ও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে ইসলাম শুধুই আইন ব্যবহার করে না; বরং মানুষের হৃদয়ে এমন বোধ ও চেতনা জাগ্রত করে যা ব্যক্তির মধ্যে দায়িত্ব পালনের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ফলে শুধু আইনের হাত থেকে বাঁচার জন্য নয়; বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা ও অসন্তুষ্টির ভয় এবং কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহির হাত থেকে বাঁচার জন্য সে নিজ থেকে সবার হক ঠিক ঠিকভাবে আদায় করে দেয়। ইসলাম বলে, দুনিয়ায় কেউ যদি অন্যের কোনো ক্ষতি করে তাহলে কিয়ামতের দিন প্রতিটি অণু-পরমাণুর হিসাব নেওয়া হবে। সে সময় সব হক শোধ করতে হবে।

এমনকি কোনো শিংওয়ালা বকরি যদি শিং ছাড়া বকরিকে দুনিয়ায় আঘাত করে তাহলে কিয়ামতের দিন উভয়কে জীবিত করে শিংহীন বকরির বদলা দেওয়া হবে। যখন বিবেকহীন প্রাণীদের মধ্যে পর্যন্ত ইনসাফ করা হবে, প্রত্যেককে তার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাহলে যেসব মানুষ সজ্ঞানে ও জাগ্রত বিবেকে অন্যের হক আত্মসাৎ করেছে তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ হবে তা সহজে অনুমেয়।

মোট কথা ইসলাম তার শিক্ষার মাধ্যমে মানবাধিকারকে এ পরিমাণ সংরক্ষণ করেছে যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হক্কুল্লাহর তুলনায় হক্কুল ইবাদকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম মুসলমানদের মধ্যে এ অনুভূতি সৃষ্টি করতে চায় যে কারও মনে যেন অন্যের হক নষ্ট করার চিন্তাও না থাকে। ভুলবশত কারও হক নষ্ট হয়ে গেলে তা শোধরানো পর্যন্ত মনে শান্তি না আসে। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com