‘প্যাক্সলোভিড’ মৃত্যু ঝুঁকি কমায় ৯০ শতাংশ
প্রকাশের সময় : 2021-12-01 15:23:24 | প্রকাশক : Administration
রাশিদুল ইসলাম: ফাইজারের দাবি তাদের কোভিড প্রতিরোধক এই পিল গুরুতর রোগের উচ্চঝুঁকিতে থাকা লোকদের মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখানোর পরই ব্যবহার করতে হবে। পাঁচদিন দু’বেলা করে তিনটি পিল খেতে হবে।
ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফলগুলো এতইটাই ইতিবাচক যে দ্রুতই তা শেষ করেছে ফাইজার। ব্রিটেন আড়াই লাখ পিল ছাড়াও এমএসডি-এর মলনুপিরাভির পিলের আরও ৪ লাখ ৮০ হাজার কোর্স অর্ডার দিয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাভিদ বলেন, অনুমোদিত হলে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ‘প্যাক্সলোভিড’ আরেক উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হতে পারবে।
ফাইজার জানিয়েছে, মার্কিন ঔষধ নিয়ন্ত্রক এফডিএ-তে তাদের পিলের ট্রায়াল রিপোর্ট জমা দেওয়া হচ্ছে। ঔষধটি ১০ জনের ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে রক্ষা করতে পারে।
বাংলাদেশসহ ৯৫ দেশকে করোনার ঔষধ উৎপাদনের অনুমতি ফাইজারের। এর ফলে নির্ধারিত দেশগুলোর ঔষধ নির্মাতারা ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের লাইসেন্স পাচ্ছে। এর আগে, জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি করোনার ঔষধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ।
ফাইজার জানিয়েছে, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের পাশাপাশি সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয় থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে এমন মোট ৯৫টি দেশ তাদের তৈরি করোনার ঔষধ উৎপাদনের অনুমতি পাবে। চুক্তি অনুসারে, দরিদ্র দেশগুলোতে করোনার ঔষধ বিক্রি থেকে কোনো অর্থ নেবে না ফাইজার। এমনকি চুক্তির আওতায় থাকা অন্য দেশগুলোতে ঔষধ বিক্রির লভ্যাংশও ছেড়ে দিচ্ছে তারা।
ফাইজার-এমপিপির চুক্তি অনুসারে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে করোনার ঔষধ উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা রোগীদের জন্য মুখে খাওয়া ঔষধে সাফল্য পাওয়ার কথা জানায় ফাইজার। প্রাথমিক ট্রায়ালে তাদের ঔষধ ৮৯ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যায়, কোভিড-১৯ সারাতে ফাইজারের ঔষধ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কের তৈরি মলনুপিরাভিরের চেয়েও বেশি কার্যকর। মার্কের ঔষধটি করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বা রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে নামাতে সক্ষম। সেই তুলনায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিডের কার্যকারিতা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
চলতি বছরের শেষের দিকে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন পেতে পারে ফাইজারের ঔষধটি। তারা আগামী ডিসেম্বরের আগেই প্রাথমিক ট্রায়ালের ফলাফল মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) হাতে তুলে দেবে বলে জানিয়েছে।