হেঁটে ৩০ দেশ পাড়ি দিয়ে গিয়েছেন হজ্বে

প্রকাশের সময় : 2021-12-16 08:55:12 | প্রকাশক : Administration
হেঁটে ৩০ দেশ পাড়ি দিয়ে গিয়েছেন হজ্বে

দিনাজপুরের সদর উপজেলার রামসাগর দিঘীপাড়ার এক বাসিন্দা হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে পবিত্র হজ্ব পালন করেছেন। তিনি ঐ গ্রামের মৃত ইজার পন্ডিত ও মমিরন নেছার ছেলে জাতীয় উদ্যানের বায়তুল আকসা জামে মসজিদের সাবেক ইমাম হাজী মোঃ মহিউদ্দিন।

পায়ে হেঁটে হজ্ব করতে যেতে তার সময় লেগেছিলো আঠারো মাস। এ আঠারো মাসে তিনি পাড়ি দিয়েছেন কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ। এ সময় তিনি সফর করেছেন ৩০টি দেশ। আর যে দেশগুলো তিনি সফর করেছেন সেগুলোর নাম এখনও মুখস্থ বলতে পারেন।

১৯১৩ সালে জন্ম নেওয়া এই অদম্য মানুষটির বয়স এখন ১০৬। হাজী মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন রামসাগরে অবস্থিত বায়তুল আকসা মসজিদের ইমাম ছিলেন। পায়ে হেঁটে হজ্ব পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে হজ্ব করার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে দিনাজপুর থেকে রওনা দেন। দিনাজপুর থেকে রংপুর হয়ে প্রথমে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে যান।

সেখানে গিয়ে পায়ে হেঁটে হজ্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তৎকালীন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা আলী আকবর হেঁটে যেতে ইচ্ছুক অন্য ১১ জন হাজীর সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন। শুরু হয় ১২ জনের হজ্বযাত্রা। চট্টগ্রাম দিয়ে ভারত হয়ে পাকিস্তানের করাচি মক্কি মসজিদে গিয়ে অবস্থান করে সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করেন। আট দিন পর সৌদি ভিসা পান। পাসপোর্ট ও ভিসা করতে খরচ হয় ১ হাজার ২০০ টাকা।

ভিসা পেয়ে পাকিস্তানের নোকঠি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইরানের তেহরান হয়ে ইরাকের বাগদাদ ও কারবালা দিয়ে মিসর পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব পৌঁছান। পথে ফেরাউনের মরদেহ দেখার ইচ্ছাও পূরণ হয় তাদের। সৌদি আরবে গিয়ে হজ্ব পালন শেষে আল্ল−াহর রাস্তার ধুলো পায়ে লাগিয়ে হেঁটে হেঁটেই ফিরে আসেন নিজ পরিবারের কাছে। এ সময় তিনি ৩০টি দেশ পাড়ি দেন।

এমন কষ্ট করে হজ্ব পালন প্রসঙ্গে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান থেকে ঘুরে আসার অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না। তবে নিজেকে ধন্য মনে করি। কেমন কষ্ট হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি কোনো কষ্ট করেছেন বলে মনে করেন না। উল্টো তিনি বলেন কষ্ট করেছেন আমার সহধর্মিনী আবেদা বেগম। অভাব অনটনের মধ্যে আমার ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছেন। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বেশ ভালো আছেন বলেও মন্তব্য করেন।

বয়সের কারণে মুড়িয়ে যাওয়া হাজী মোঃ মহিউদ্দিনের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণ শক্তি কিছুটা কমে গেছে। লাঠি ছাড়া ঠিকমত হাঁটতে পারেন না আর। কিন্তু সে সময়ের কোনো স্মৃতিই তিনি ভুলে যাননি। কেউ জিজ্ঞাসা করতেই মুখ থেকে ঝরতে থাকে কথার ফুলঝুরি। সকলের কাছে বলতে চান সেসব দিনের কথা। সর্বপরি তিনি সবাইকে একবার হলেও আল্ল−াহর ঘর তওয়াফ করার আহ্বান জানান। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com