বিদ্যুতে আলোকিত সারাদেশ

প্রকাশের সময় : 2021-12-29 10:46:43 | প্রকাশক : Administration
বিদ্যুতে আলোকিত সারাদেশ

স্বপ্না চক্রবর্তী: একটা সময় ছিল যখন কৌতুক করে বলা হতো, ‘দেশে বিদ্যুত যায় না, মাঝে মাঝে আসে’। বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতি ছিল পর্যুদস্ত। শিল্প, বাণিজ্য, ছিল স্থবির। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষের জীবন ছিল অসহনীয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিদ্যুত উৎপাদনে রেকর্ড করেছে দেশ। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য ছুঁতে আর মাত্র সামান্য ধাপ বাকি।

বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে দেশের দুর্গম প্রান্ত থেকে প্রান্তে। নতুন করে গ্যাস কূপ খননের তোড়জোড় না থাকায় গ্যাস উত্তোলনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও এলএনজি আমদানি করে সেই চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এতে করে জনজীবনে যেমনি এসেছে স্বস্তি তেমনি সচল হয়েছে অর্থনীতির চাকা। তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতের উৎপাদন বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বাড়ছে বৈদেশিক আয়।

দেশে বিদ্যুতের যাত্রা শুরু হয় ১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর। আহসান মঞ্জিলে জেনারেটরের সহায়তায় বিদ্যুত সরবরাহের মাধ্যমে। পরে ১৯৩০ সালে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রথম বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা চালু হয় এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করার লক্ষ্যে ‘ধানমন্ডি পাওয়ার হাউস’ স্থাপন করা হয়। তারপর ভারতবর্ষ ভাগের পর ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চলে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুত উৎপাদন ও বিতরণের ব্যবস্থা চালু ছিল।

পরে ১৭ টি প্রাদেশিক জেলার শুধু শহরাঞ্চলে সীমিত পরিসরে বিদ্যুত সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অধিকাংশ জেলায় শুধু রাতের বেলায় সীমিত সময়ের জন্য বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো। ঢাকায় ১৫০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো। ১৯৪৮ সালে, বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী পর্যায়ে বিদ্যুত অধিদফতর স্থাপন করা হয়।

১৯৫৯ সালে পানি ও বিদ্যুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা) স্থাপন করার মাধ্যমে বিদ্যুত খাতে নবদিগন্তের সূচনা হয় এবং বিদ্যুত খাত একটি কাঠামো লাভ করে। ১৯৬০ সালে, বিদ্যুত অধিদফতরটি ওয়াপদার সঙ্গে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মাত্রা লাভ করে। সেই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনায় অপেক্ষাকৃত বৃহৎ আকারের বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জে স্থাপন করা হয় ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্টিম টারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্র।

একই সময়ে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কাপ্তাইয়ে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত ইউনিট স্থাপন করা হয়, যা ওই সময়ে সবচেয়ে বড় বিদ্যুত কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত ছিল। ১৯৬২ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন চালু করা হয় যা এই দেশের বিদ্যুত বিকাশের মাইলফলক। ১৯৭২-৭৫ এই সময়ে আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল ও সিদ্ধিরগঞ্জ তিনটি পাওয়ার হাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।

কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অপরিসীম গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সৃষ্টি করা হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুত খাত সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় বিদ্যুত উৎপাদনে বেসরকারী বিনিয়োগসহ বিদ্যুত খাতের কাঠামোগত সংস্কার করে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতকে আলাদা করে সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করা হয়।

বিদ্যুত খাতের ন্যায় জ্বালানি খাতেও কাঠামোগত সংস্কার করে নানাবিধ সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। এই সময়ে বিদ্যুত উৎপাদন ১,৬০০ থেকে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। এই অবস্থা থেকে আবারও বিদ্যুত খাতে অন্ধকার নেমে আসে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত।

এ সময়টায় বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্য ছিল স্থবির। অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল জনজীবন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষের জীবন ছিল অসহনীয়। এই অবস্থা থেকে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন দিন বদলের সনদ ২০২১ ‘রূপকল্প’। তিনি বিদ্যুত খাতের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিলেন ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছানো হবে।

প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে হাঁটছে দেশ। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল এই সময়টায় বিদ্যুত খাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা গত ১০০ বছরেও হয়নি। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে জ্বালানি বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, এলএনজি, তরল জ্বালানি, ডুয়েল-ফুয়েল, পরমাণু বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণসহ বিদ্যুত আমদানির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুত’ এ স্লোগান সামনে রেখে সকলের জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি।

১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪৭৫ মেগাওয়াট। ১৯৭২ সালে দেশে বিদুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। তবে এই ক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুতও উৎপাদন করা যেত না। এই সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত নিয়েই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংযোগ চাহিদা যেখানে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট সেখানে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ ২৫ হাজার মেগাওয়াট।

বিদ্যুতে আলোকিত সারাদেশ

 

স্বপ্না চক্রবর্তী: একটা সময় ছিল যখন কৌতুক করে বলা হতো, ‘দেশে বিদ্যুত যায় না, মাঝে মাঝে আসে’। বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতি ছিল পর্যুদস্ত। শিল্প, বাণিজ্য, ছিল স্থবির। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষের জীবন ছিল অসহনীয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিদ্যুত উৎপাদনে রেকর্ড করেছে দেশ। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য ছুঁতে আর মাত্র সামান্য ধাপ বাকি।

বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে দেশের দুর্গম প্রান্ত থেকে প্রান্তে। নতুন করে গ্যাস কূপ খননের তোড়জোড় না থাকায় গ্যাস উত্তোলনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও এলএনজি আমদানি করে সেই চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এতে করে জনজীবনে যেমনি এসেছে স্বস্তি তেমনি সচল হয়েছে অর্থনীতির চাকা। তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতের উৎপাদন বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বাড়ছে বৈদেশিক আয়।

দেশে বিদ্যুতের যাত্রা শুরু হয় ১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর। আহসান মঞ্জিলে জেনারেটরের সহায়তায় বিদ্যুত সরবরাহের মাধ্যমে। পরে ১৯৩০ সালে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রথম বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা চালু হয় এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করার লক্ষ্যে ‘ধানমন্ডি পাওয়ার হাউস’ স্থাপন করা হয়। তারপর ভারতবর্ষ ভাগের পর ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চলে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুত উৎপাদন ও বিতরণের ব্যবস্থা চালু ছিল।

পরে ১৭ টি প্রাদেশিক জেলার শুধু শহরাঞ্চলে সীমিত পরিসরে বিদ্যুত সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অধিকাংশ জেলায় শুধু রাতের বেলায় সীমিত সময়ের জন্য বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো। ঢাকায় ১৫০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করা হতো। ১৯৪৮ সালে, বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী পর্যায়ে বিদ্যুত অধিদফতর স্থাপন করা হয়।

১৯৫৯ সালে পানি ও বিদ্যুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা) স্থাপন করার মাধ্যমে বিদ্যুত খাতে নবদিগন্তের সূচনা হয় এবং বিদ্যুত খাত একটি কাঠামো লাভ করে। ১৯৬০ সালে, বিদ্যুত অধিদফতরটি ওয়াপদার সঙ্গে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মাত্রা লাভ করে। সেই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনায় অপেক্ষাকৃত বৃহৎ আকারের বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জে স্থাপন করা হয় ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্টিম টারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্র।

একই সময়ে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কাপ্তাইয়ে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত ইউনিট স্থাপন করা হয়, যা ওই সময়ে সবচেয়ে বড় বিদ্যুত কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত ছিল। ১৯৬২ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন চালু করা হয় যা এই দেশের বিদ্যুত বিকাশের মাইলফলক। ১৯৭২-৭৫ এই সময়ে আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল ও সিদ্ধিরগঞ্জ তিনটি পাওয়ার হাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।

কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অপরিসীম গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সৃষ্টি করা হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুত খাত সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় বিদ্যুত উৎপাদনে বেসরকারী বিনিয়োগসহ বিদ্যুত খাতের কাঠামোগত সংস্কার করে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতকে আলাদা করে সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করা হয়।

বিদ্যুত খাতের ন্যায় জ্বালানি খাতেও কাঠামোগত সংস্কার করে নানাবিধ সংস্থা ও কোম্পানি গঠন করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। এই সময়ে বিদ্যুত উৎপাদন ১,৬০০ থেকে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। এই অবস্থা থেকে আবারও বিদ্যুত খাতে অন্ধকার নেমে আসে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত।

এ সময়টায় বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্য ছিল স্থবির। অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল জনজীবন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষের জীবন ছিল অসহনীয়। এই অবস্থা থেকে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন দিন বদলের সনদ ২০২১ ‘রূপকল্প’। তিনি বিদ্যুত খাতের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিলেন ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছানো হবে।

প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে হাঁটছে দেশ। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল এই সময়টায় বিদ্যুত খাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা গত ১০০ বছরেও হয়নি। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে জ্বালানি বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, এলএনজি, তরল জ্বালানি, ডুয়েল-ফুয়েল, পরমাণু বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণসহ বিদ্যুত আমদানির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুত’ এ স্লোগান সামনে রেখে সকলের জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি।

১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪৭৫ মেগাওয়াট। ১৯৭২ সালে দেশে বিদুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। তবে এই ক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুতও উৎপাদন করা যেত না। এই সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত নিয়েই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংযোগ চাহিদা যেখানে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট সেখানে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ ২৫ হাজার মেগাওয়াট।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com