২০ কোটি ডোজ টিকার মাইলফলক

প্রকাশের সময় : 2022-03-09 15:02:25 | প্রকাশক : Administration
২০ কোটি ডোজ টিকার মাইলফলক

স্বপ্না চক্রবর্তী: করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র প্রতিষেধক হিসেবে টিকাদান কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রথম সারির সেবায় নিয়োজিত মানুষজনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, এমনকি বস্তিবাসীকেও আনা হয়েছে টিকার আওতায়। এরই ফল হিসেবে দেশে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার মাত্র ১ বছরের মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ২০ কোটি ডোজ টিকা প্রদানের মাইলফলকে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে প্রথম ডোজের আওতায় চলে এসেছে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ। আর দুই ডোজ পেয়েছেন অন্তত ৫০ শতাংশ। এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অন্তত ১০ কোটি মানুষকে দুই ডোজ টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে ৭০ শতাংশের বাকি আড়াই কোটি মানুষও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পাবেন টিকা।

টিকা দেয়া হবে মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ মানুষকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ীই এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেছেন, মোট সাড়ে ১২ কোটি জনগণ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই ডোজ মিলিয়ে টিকার আওতায় এসেছেন ২০ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫২ জন মানুষ। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৫ জন মানুষ। আর প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় ডোজই পেয়েছেন ৬ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ জন।

এদেরকে দেয়া হয়েছে অক্সফোর্ড এ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, চীনের তৈরি সিনোফার্মা, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা। গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় ভারত থেকে আসা অক্সফোর্ড এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে।

কিন্তু ওই সময় দেশটিতে করোনার ডেল্টা ধরনের মহামারী আকার ধারণ করলে বন্ধ করে টিকা রপ্তানি। ফলে বাংলাদেশেও মুখ থুবড়ে পড়ে টিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু সরকারের টিকাপ্রাপ্তিতে সরকারের নানামুখী তৎপরতায় অবশেষে সাফল্য আসে। চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা দিয়ে আবারও শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম।

এরপর ধারাবাহিকভাবে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ থেকে আসতে থাকে অক্সফোর্ড- এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রও পাঠাতে শুরু করে ফাইজারের টিকা। এতে করে টিকাদান কার্যক্রম চলে পূর্ণোদ্যোমে। সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকাদান কর্মসূচি।

১৬ নভেম্বর থেকে রাজধানীর বস্তিগুলোর বাসিন্দাদেরকেও টিকা দেয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খুব শীঘ্রই প্রায় ২ কোটি ভাসমান জনগোষ্ঠীকেও টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এখনও ৯ কোটি টিকা স্টকে আছে। ইতোমধ্যে সোয়া ২০ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে। আরও পাঁচ কোটি আসবে। এই মুহূর্তে বাড়তি টিকার প্রয়োজন নেই। চীনের সিনোফার্মের সঙ্গেও একটি বেসরকারী কোম্পানির টিকা তৈরির চুক্তি হয়েছে। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com