গিরগিটি বাঁচে ১০০ বছর
প্রকাশের সময় : 2022-05-11 15:18:44 | প্রকাশক : Administration
কিছুটা সবুজ, কিছুটা ধূসর গায়ের রঙের প্রতিকূল পরিবেশ সহনীয় প্রাণী টুয়াটারা। টুয়াটারাকে বাংলায় বলে সরীসৃপ। বেশিরভাগ দেখা যায় নিউজিল্যান্ডে। অন্যত্রও আছে এদের উপস্থিতি। গিরগিটি এমন এক সরীসৃপ যাদের শারীরিক গঠন খুব মজবুত, প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত। এরা ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার ওপরে বাঁচতে না পারলেও পাঁচ ডিগ্রির নিচে বাঁচতে পারে। সাধারণত দেখা যায় নিউজিল্যান্ডে। বেঁচে থাকে একশ বছর।
গিরগিটির পাগুলো ভীষণ শক্ত, হাতের থাবা রেজরের মতো ধারালো হয়ে থাকে, পিঠে সুচালো স্পাইকের সঙ্গে মোটা একটা লেজও থাকে। পুরুষ টুয়াটারাদের একটা ত্রিকোণাকার ঝুঁটির মতো অংশ থাকে, যা দিয়ে এরা অন্য লিঙ্গের টুয়াটারাকে আকর্ষণ করে। এদের আরও একটি জনপ্রিয় পরিচয়, এরা গায়ের রং বদল করে। রঙ বদলায় বলে সহজে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না।
শীতকাল এদের বিশ্রাম নেওয়ার সময়। সাধারণত গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি সময়ে বংশবিস্তার করে টুয়াটারা। ১০-২০ বছর বয়সী টুয়াটারাকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয়। ছেলেরা প্রতি বছর প্রজননে অংশগ্রহণ করতে পারলেও মেয়েরা প্রতি দুই থেকে পাঁচ বছরে একবার প্রজননে অংশ নেয়। মেয়ে টুয়াটারা গড়ে ১-১৯টি ডিম পাড়ে এবং সেই ডিমে ১২-১৫ মাস পর্যন্ত তা দেয়। জন্মের পর মায়েরা এদের আগলে রাখে না বরং এদের জন্মের পর থেকেই নিজের খেয়াল নিজেকে রাখতে হয়। প্রকৃতির খেয়ালেই শতায়ু হয় গিরগিটি।
আরেক ধরনের সরীসৃপ যা বাগানের গিরগিটি নামে খ্যাত। এই সরীসৃপগুলোকে শহর, গ্রাম, সবখানেই দেখা যায়। খোলা মাঠ, ঝোপঝাড়, বনের প্রান্ত, বাগান, পার্ক প্রভৃতি জায়গা বেশি পছন্দ। মূলত কীটপতঙ্গভোজী হলেও ডিম, ছোট ছোট কাঁকড়া ও অন্যান্য ছোট মেরুদন্ডী প্রাণীতেও এদের অরুচি নেই। অনেকে এই প্রাণীটিকে 'রক্তচোষা' বলে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি খুবই ভীতু এবং লাজুক স্বভাবের প্রাণী। এরা সহজে কাউকে কামড়ায় না। কামড়ালেও এদের কামড় সম্পূর্ণ বিষহীন এবং কোন ব্যাথাও হয়না। মানুষের ভুল ধারণার কারণে অনেকে এদের দেখলেই মেরে ফেলে এবং এই কারণে বাগানের গিরগিটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। - সূত্র: অনলাইন