শিশুদের পুষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন ফল

প্রকাশের সময় : 2022-06-25 09:57:39 | প্রকাশক : Administration
শিশুদের পুষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন ফল

রসালো ফলের কথা মনে পড়লেই গ্রীষ্মকালের কথা ভেসে ওঠে। মূলত রঙিন, বাহারি ও রসালোসমৃদ্ধ কয়েকটি ফলকে কেন্দ্র করে গ্রীষ্মকালের মূল সৌন্দর্য। আর এ ফলগুলো হলো- আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচু ও তাল।

ছোট শিশুরা ফলের সঙ্গে মিশানো কেমিক্যাল ও ফরমালীন, এমনকি ফলের পোকা দমনে ও পাকানো দেখাতে বিষ মিশানো স্প্রে ফল খেয়ে অহরহ মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ছে। কিন্তু আমরা ফল খাবোনা তা কিন্তু না! তবে বুঝেশুনে ও দেখে খাবো। যাতে করে রসালো এ ফলগুলো খেয়ে আমরা ও পরিবারের শিশুরা বাড়তি পুষ্টি পেতে পারি ও সুস্থ থাকতে পারি।

আম: মিষ্টি এ ফলের ১০০ গ্রামে ৪০০ ইউনিট ভিটামিন এ, ১২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। পাকা আমের ৬০ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে। কাঁচা আমে থাকা ফাইবার পিকটিন কোলেস্টেরলসহ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। আমে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া আম খেয়ে শিশুরাও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।

কাঁঠাল: কাঁঠাল হলো রুচি ও শক্তিবর্ধক। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ৯.৯ গ্রাম শর্করা, ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে।

লিচু: লিচু শিশুদের খুবই প্রছন্দের খাবার। লিচু দেহের পানির চাহিদা ও পিপাসা মেটাতে খুবই কার্যকর। ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শর্করা থাকে। ক্যালসিয়াম আছে ১০ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম। আবার খালি পেটে লিচু খেলে শরীরেগ্লুকোজ কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তাই লিচু খাওয়ার পূর্বে একটু সাবধানতা প্রয়োজন।

তরমুজ: তরমুজকে বলা হয়ে থাকে গ্রীষ্মকালের শুরুর প্রথম ফল। প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি নেই। ১ কাপ তরমুজে ১১ গ্রাম শর্করা থাকে, যার ৯ গ্রামই আবার চিনি। তরমুজে ভিটামিন এ, বি ও সি অনেক বেশি থাকে। ভিটামিন সি ঋতুজনিত সর্দি, টনসিল, গরম-ঠান্ডাজ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়া কমায়। তরমুজের লাইকোপিন ও সিট্রুলিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

জাম: প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি থাকে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে প্রচুর জাম খেতে পারেন। জামের বিচি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

তাল: তাল গ্রীষ্মের শেষের দিকের একটি পরিপূর্ণ রসালো ফল। এটিকে বলা হয় ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সে। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী। তাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন তালের ক্বাথ, জুস, বড়া, কেক, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। - সূত্র: অনলাইন  

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com