চিংড়ি রফতানি ৪৫ কোটি ডলার
প্রকাশের সময় : 2022-07-18 17:33:14 | প্রকাশক : Administration
সর্বশেষ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৩২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। তবে অর্থবছর শেষে চিংড়ি রফতানি ৪৫ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বলে আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া হিমায়িত চিংড়ির ৮৫ ভাগ যায় ইউরোপে। আর ১৫ ভাগ আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই চিংড়ি রফতানির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে ৪৫ কোটি ডলার ছাড়ালে রফতানি আয় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এক অর্থবছরের মধ্যে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ে খুব কম হয়েছে।
কিছুদিন আগে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে দেশের চিংড়ি রফতানির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের (বিএসএফএফ) আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত। সামনের দিনে চিংড়ি রফতানির মাধ্যমে এক বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এটি করতে হলে কৃষি খাতের পণ্য হিসেবে রফতানি প্রণোদনার বৈষম্য দূর করতে হবে।
পাট কিংবা প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চিংড়ি রফতানিতে ভর্তুকি মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে এ খাতের উন্নয়ন ও মৎস্যচাষীদের উন্নয়নে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশ্ববাজারে এখন ৯৫ শতাংশই ভেনামি চিংড়ি। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে ৯৫ শতাংশই বাগদা চিংড়ি। ভেনামি চাষে উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হয়।
ভেনামি চিংড়ি বাংলাদেশে এখনো উৎপাদন হয় না। তাই কম উৎপাদনশীল গলদা ও বাগদা চিংড়ি দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন। এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে ভেনামি চিংড়ি সরবরাহ বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ প্রয়োজন। এছাড়া বাগদা চিংড়ির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনায় নিয়ে এটিকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। যাতে প্রিমিয়াম দামে আমরা রফতানি করতে পারি। তাহলে দেশের স্বার্থ রক্ষা ছাড়াও খামারিদের বাড়তি দাম দেয়া সম্ভব হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ডঃ ফা হ আনসারী বলেন, সামনের দিনে চিংড়ি রফতানির মাধ্যমে এক বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এটি করতে হলে কৃষি খাতের পণ্য হিসেবে রফতানি প্রণোদনার বৈষম্য দূর করতে হবে। পাট কিংবা প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রফতানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চিংড়ি রফতানিতে ভর্তুকি মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে এ খাতের উন্নয়ন ও মৎস্যচাষীদের উন্নয়নে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, বিশ্ববাজারে এখন ৯৫ শতাংশই ভেনামি চিংড়ি। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে ৯৫ শতাংশই বাগদা চিংড়ি। ভেনামি চাষে উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হয়। ভেনামি চিংড়ি বাংলাদেশে এখনো উৎপাদন হয় না। তাই কম উৎপাদনশীল গলদা ও বাগদা চিংড়ি দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন। এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে ভেনামি চিংড়ি সরবরাহ বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ প্রয়োজন। এছাড়া বাগদা চিংড়ির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনায় নিয়ে এটিকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। যাতে প্রিমিয়াম দামে আমরা রফতানি করতে পারি। তাহলে দেশের স্বার্থ রক্ষা ছাড়াও খামারিদের বাড়তি দাম দেয়া সম্ভব হবে।