সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে

প্রকাশের সময় : 2022-08-31 15:41:40 | প্রকাশক : Administration
সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে

নয়ন চক্রবর্ত্তী: কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে ঢাকার আইসিডিতে পণ্য পরিবহনের জন্য রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নির্মাণাধীন দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি সুবিধা পেতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের চকরিয়া অংশ থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হবে।

ইতোমধ্যে পিডিপিপি (প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সম্ভাব্যতা যাচাই ও ডিজাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাতারবাড়ির সঙ্গে প্রস্তাবিত এই নতুন ডুয়েলগেজ রেলসংযোগ নির্মাণে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২৫ সালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর সেখানে ভিড়তে পারবে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার জাহাজ। চট্টগ্রাম এখন তাই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজারের রেললাইন নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরমধ্যেই অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের কারণে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার রেলপথের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।

তাই এই রেললাইন নির্মিত হলে মাতারবাড়ি বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা হবে দ্রুত। শুধু তাই নয় এই রেললাইন মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গেও যুক্ত হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পরিবহনের এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এই জন্য একটা পিডিপিপি করা হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, এটা পরিবর্তন হবে।

চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) ও ডিজাইনের কাজ শেষ করা হয়েছে। মোট ২৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তবে তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড। অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পর মূলত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের জন্য ৪৪৫ একর ভূমিও অধিগ্রহণ করা হবে।

২৬ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণ যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ওই এলাকায় অনেকগুলো খাল বিল আছে। আর দুটো নদী আছে। তাই এই ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটারের এলিভেটেড হবে। এই গভীর সমুদ্রবন্দর বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের কাছে বিভিন্ন কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরে সরাসরি বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। যার ফলে বহির্বিশ্বের দেশ থেকে পণ্য নিয়ে পণ্য আসা-যাওয়া জাহাজগুলো উন্নত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

বন্দর নির্মাণ শেষ হলে ৫৯ ফুট গভীর চ্যানেল দিয়ে এই বন্দরে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। জাপানের কাশিমা বন্দরের মতো হবে এই মাতারবাড়ি। যার ফলে ব্যস্ততাও বাড়বে। এজন্য রেলপথ নির্মাণ বেশ জরুরী। ট্রেনে পণ্য পরিবহন হলে ব্যয়ও কমবে। মাতারবাড়িতে পণ্যপরিবহনে রেললাইন যুক্ত হলে পাল্টে যাবে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চিত্র। বাংলাদেশ হবে সিঙ্গাপুর। রাজস্ব আদায় হবে বহুগুণ।

দ্বীপাঞ্চলগুলোর গুরুত্ব বাড়াতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বিশ্বের অনেক অনুন্নত দেশ দ্বীপভিত্তিক অর্থনৈতিক হাব তৈরি করে আজ উন্নত দেশের কাতারে। তেমনি মাতারবাড়িকে উন্নত করে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা সম্পন্ন হলে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে দেশ। এজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বড় জরুরী। বিশেষ করে রেলপথের উন্নয়ন না করে এবং কোন অঞ্চলকে ট্রেন চলাচলের আওতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে অর্থনৈতিক হাব সম্ভব নয়।

তাই চকরিয়া থেকে যদি মাতারবাড়ি রেলপথ নির্মাণ হয় তাহলে পাল্টে যাবে পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথকে ধলঘাটায় মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের কাজ অনেকাংশে শেষ। তাই এখন পরিকল্পনা চকরিয়া অংশ থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে রেললাইন নিয়ে যাওয়া। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com