বিআরটির জন্য আর কত ভোগান্তি!!!

প্রকাশের সময় : 2022-11-23 14:40:25 | প্রকাশক : Administration
বিআরটির জন্য আর কত ভোগান্তি!!!

দফায় দফায় সময় বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) প্রকল্প নেয়ার সময় বলা হয়েছিল, চার বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে প্রায় ১০ বছরেও এর কাজ শেষ হয়নি।

বিআরটি প্রকল্পে শুধু সময় আর ব্যয়ই বাড়ছে না, নাগরিকদের নানা ভোগান্তিতেও ফেলছে। নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলা আর গাফিলতির কারণে বিভিন্ন সময় প্রকল্প এলাকায় দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহত হয়েছে। অব্যবস্থাপনার কারণে যানজট দেখা দেয় নিয়মিতই।

রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রকল্প এলাকার সড়ক অপ্রশস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমলে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। তখন দেখা দেয় অসহনীয় যানজট। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর রাস্তাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের টঙ্গীর মিল গেট থেকে মুন্নু গেট পর্যন্ত রাস্তার কারণে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গত কয়েক দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলছে শম্বুক গতিতে। যাত্রীসাধারণ নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। বিআরটি প্রকল্পের জন্য নাগরিকদের আর কত ভোগান্তি পোহাতে হবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকারও বিআরটি প্রকল্প নিয়ে বিব্রত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই প্রকল্পকে এর আগে ‘গলার কাঁটা’হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

সরকার প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে বারবার তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু কাজ আর শেষ হচ্ছে না। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী মারা যাওয়ার ঘটনার পর থেকে প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো জরুরি।

বিআরটি প্রকল্প ছাড়াও, দেশে আরও অনেক প্রকল্পের কাজই নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায়নি। প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। জনকল্যাণের লক্ষ্যে নেয়া কোন প্রকল্প জনদুর্ভোগের কারণ হলে সেটা মেনে নেয়া যায় না। বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিআরটি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে যে জন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে, সেটা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত মহাসড়কের খানাখন্দ দূর করতে হবে। রাস্তায় যেন নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের, তাদেরই উদ্যোগী হয়ে এসব কাজ করতে হবে। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com