অনন্য বিস্ময় পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

প্রকাশের সময় : 2023-01-04 17:07:41 | প্রকাশক : Administration
অনন্য বিস্ময় পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

জেসিউর রহমান শামীম: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার পৃথিবীর যে কয়টি পূরাকীর্তির তালিকা রয়েছে তার মধ্যে পাহাড়পুরের উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন বাংলার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শিল্প, সাংস্কৃতিক তথা সামগ্রিক জীবন ধারায় ইতিহাস বিনির্মাণে যে কটি প্রত্নস্থান বিশেষভাবে বিবেচ্য তার মধ্যে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারটি অন্যতম। প্রতিদিন শত শত মানুষ প্রাকৃতিক সবুজঘেরা অসাধারণ এক স্থাপত্য কীর্তি দেখতে ছুটে যান।

বর্তমান রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। অপর দিকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিমদিকে ধারণা নয়। আমরা সবকিছু মাপজোখ করে, রিজার্ভের পরিমাণের জরিপ-হিসাব নিকাশ শেষ করেই এগুচ্ছি। এখন এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। আমাদের হাতে উৎপাদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকা ১৫টি কূপের মধ্যে ছয়টির খনন, আটটির ওয়ার্কওভার ও একটির পাইপলাইনের কাজ চলছে। সম্ভবত ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

একই বিষয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, এসজিএফএল’র বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বাড়বে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালের আগেই ২০২৩ সালেই আমরা ভালো একটা ফিড পাব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের গ্যাসের ফিড দিতে পারব। আর চলমান কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুটও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অপর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিশ্ববাজারে সোনা, হীরা, মুক্তা, তরল সোনা কত কিছুর কথা আছে আমাদের গ্যাসের কথা নেই। বিশ্বজুড়ে এখন জ্বালানির যে তীব্র সংকট সেখানে একমাত্র আমাদের গ্যাসই আলোর পথ দেখাতে পারে, সেদিন বেশি দূরে নয়। শুধু গ্যাস নয় আগামীতে আরও বড় ধরনের কিছুর সন্ধান এখন সময়ের দাবি। তবে এই অমূল্য সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার অগাধ দেশপ্রেমের প্রয়োজন। একইভাবে সরকারি দল ছাড়াও সব দলের রাজনীতিকদেরও আন্তরিকতা খুবই জরুরি। নতুবা ‘গরিবের ধন’নিয়ে উল্লাস করার চেয়ে হতাশ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। পেট্রোবাংলা-বাপেক্স অনেক দক্ষ, অথচ অতীতে বিদেশিদের হাতে গ্যাসক্ষেত্র তুলে দেওয়ায় আমাদের অগাধ সম্পদ হারাতে হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত। বাকিগুলো হচ্ছে, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খনন করা কূপগুলোতে সফলতা এসেছে বেশ। আর বিদেশিদের মাধ্যমে কাজ করাতে গিয়ে চরম দুর্ঘটনার মাশুল গুনতে হয়েছে মাগুরছড়া ও টেংরাটিলার ট্রাজেডিতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু রক্ষণাবেক্ষণের পর ২০১৭ সালে আরও সাত মাস গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এরপর গ্যাস না পাওয়ায় কূপটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালে এ কূপসহ তিনটি কূপে ওয়ার্ক ওভার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপে ওয়ার্ক ওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুটের মজুত পাওয়া যায় ওই কূপে। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com