ইসলামে কলুষমুক্ত অন্তরের মর্যাদা
প্রকাশের সময় : 2018-10-10 22:33:46 | প্রকাশক : Admin
হাবীবুল্লাহ সিরাজ: অন্তরের অবস্থা একমাত্র আল্লাহ জানেন। দুনিয়ার কারো দ্বারা বা কোনো উপায়ে অন্তরের অবস্থা জানা যায় না। আর এই অন্তরের উপর নির্ভর করে একজন মুমিন আর অমুমিনের পার্থক্য বিভাজন। এই অন্তরের উপর একমাত্র কর্তৃত্বশীল আল্লাহ। আল কুরআন বলছে, ‘তোমাদের অন্তরে যা কিছু আছে গোপন করো বা প্রকাশ করো, সবই আল্লাহ জানেন’ (সুরা আল ইমরান ২৯)
এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যার বাহ্যিক কাজকর্ম ততোটুকু ভালো নয় কিন্তু সে আন্তরিক। মহান আল্লাহ তাই অন্তরের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন এক স্থানে আল্লাহ বলছেন- ‘আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তর সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল ২৫)
অন্তর ভালো তো সে ভালো, অন্তর কলুষিত তো সে কলুষিত। হাদিস শরীফে এসেছে- ‘আল্লাহ তোমাদের চেহারা দেখেন না, দেখেন তোমাদের অন্তর’। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর মিশন ছিল মানুষের অন্তরের উপর কাজ করা। অন্তরকে কলুষমুক্ত করা।
কিয়ামতের কঠিন পরিস্থিতিতে একমাত্র মুক্তি পাবে নিষ্কলুষ অন্তরের অধিকারী পাপ বা কদাকার যুক্ত অন্তরের অধিকারী নয়। আল্লাহ সেই ঘোষণা দিচ্ছেন এভাবে- ‘সেদিন ধন সম্পদ ও সন্তানসন্তুতি কোন উপকারে আসবে না, (শুধুমাত্র উপকারে আসবে) যে ব্যক্তি কলুষমুক্ত স্বচ্ছ অন্তর নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হতে পারবে।’ (সুরা শুয়ারা ৮৮-৮৯)
একদা রাসুল (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞাস করা হলো- মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন ‘মাখমুমুল কলবওয়ালা’ ব্যক্তি। সাহাবা এবার জিজ্ঞাস করলেন ‘মাখমুমুল কলবওয়ালা’ ব্যক্তি কে? উত্তরে রাসুল (সাঃ) বলেন- সে হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে আল্লাহভীরু ও পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী। যে অন্তরে কোন পাপ, সীমালঙ্ঘন, বিদ্বেষ ও হিংসার স্থান নেই।’ (ইবনে মাজাহ ৩৪১৬)
হযরত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সেই কলুষিত অন্তর পবিত্র করার দোয়াও শিখিয়েছেন আমাদের। ‘হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের পূর্বে যারা ঈমান এনে বিদায় নিয়ে চলে গেছে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আর ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ রেখোনা না। হে আমাদের রব তুমি তো অতিশয় দয়াবান পরম দয়ালু’ (সুরা হাশর ১০)।