জীবাণুর লোভে প্লাস্টিক খায় সামুদ্রিক প্রাণী!

প্রকাশের সময় : 2018-10-10 22:39:55 | প্রকাশক : Admin
�জীবাণুর লোভে প্লাস্টিক খায় সামুদ্রিক প্রাণী!

সিমেক ডেস্কঃ একেবারে ক্ষুদ্রতম প্ল্যাংকটন থেকে শুরু করে অতিকায় প্রাণীসব ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীই প্লাস্টিক খেয়ে থাকে। কিন্তু প্লাস্টিক তো দেখতে কোনো খাবারের মতো নয়। এর পরও কেন প্লাস্টিক খাচ্ছে তারা? মূলত জীবাণুর আস্তরণই প্লাস্টিককে ‘খাদ্য’ হতে সহায়তা করে।

নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট ফর সি রিসার্চের বিজ্ঞানী এরিক জেটলার বলেন, ‘সমুদ্রসৈকতে গেলে এক টুকরো প্লাস্টিক কুড়িয়ে নিয়ে সেটার গন্ধ শুঁকে দেখুন। মেছো গন্ধ পাবেন।’ এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, সমুদ্রে সব প্লাস্টিকের ওপরই দ্রুত এক ধরনের মাইক্রো বা ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীবাণুর আস্তরণ পড়ে। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় একে বলা হয় ‘প্লাস্টিফেয়ার। এই পিচ্ছিল জীবন্ত আস্তরণ থেকে যে রাসায়নিক নির্গত হয়, সেটাই আসলে প্লাস্টিককে লোভনীয় খাদ্যে পরিণত করে। কারণ প্লাস্টিক থেকে তখন খাদ্যের মতোই গন্ধ বের হয় এবং এর স্বাদও হয় সে রকম।

যেসব সামুদ্রিক পাখি প্লাস্টিক খায়, তাদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এ রকম। তবে কিছু কিছু প্রাণী যেমন তিমি

যখন প্ল্যাংকটন খাওয়ার জন্য পানি ছাঁকে, তখন আসলে তারা এর সঙ্গে প্লাস্টিকও গিলে ফেলে।

বিশ্বজুড়েই সমুদ্রে প্লাস্টিকের আবর্জনা বাড়ছে। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। কিছু প্লাস্টিক সামুদ্রিক স্রোতে গিয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে। এ রকম স্রোতে পড়লে তখন প্লাস্টিক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা’য় পরিণত হয়। তখন এই মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে যায় সামুদ্রিক জীবের পেটে। সূত্র : বিবিসি।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com