নারীদের রোগ এন্ডোমেট্রিওসিস
প্রকাশের সময় : 2019-07-11 18:20:22 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ এন্ডোমেট্রিওসিস মোটামুটি পরিচিত এক সমস্যা। অনেক নারীই এই সমস্যায় খুব কষ্ট পেলেও চাপা স্বভাবের কারণে সমস্যার কথা কাউকে বলতে চায় না। কিন্তু এন্ডোমেট্রিওসিসে তলপেটে এত অসহ্য ব্যথা হয় যে কাউকে না বলে পারা যায় না। এ অসুখ হলে মাসিকের সময় নারীরা প্রচণ্ড কষ্ট পায়।
কী এই এন্ডোমেট্রিওসিসঃ
ইউটেরাস বা জরায়ুতে তিনটি স্তর থাকে। সবচেয়ে ভেতরের স্তরের নাম এন্ডোমেট্রিয়াম। এই এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ যখন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে জরায়ুর বাইরে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে এন্ডোমেট্রিওসিস বলে। সাধারণত ওভারি, ফেলোপিয়ান টিউব, পেটের মধ্যে স্কার টিস্যুতে এই এন্ডোমেট্রিয়াল কোষগুলো ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত যেসব নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সের মধ্যে (অর্থাৎ ১৫ থেকে ৪৫ বছর) পড়ে, তাদের এন্ডোমেট্রিওসিস দেখা যায়।
লক্ষণঃ
১. অনিয়মিত মাসিক।
২. মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা। অনেক সময় এত ব্যথা হয় যে রোগী চিৎকার করতে থাকে।
৩. সহবাসের সময় ব্যথা।
৪. মলমূত্র ত্যাগ করার সময় ব্যথা।
৫. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
৬. ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব।
৭. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া ইত্যাদি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ শুধু লক্ষণ শুনে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে নিশ্চিতভাবে রোগটি ডায়াগনসিস সম্ভব নয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলে রোগটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ল্যাপারোস্কোপি করে বায়োপসির মাধ্যমে রোগটি ধরা যায়।
চিকিৎসাঃ অপারেশন অথবা ঔষধের মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা হয়। পেটের ব্যথা কমানোর জন্য এনএসএইড ব্যবহার করা হয়। গোনাডোট্রপিন অ্যানালগ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ওসিপি এবং প্রজেস্টিনের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। ঔষধে কাজ না হলে সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এন্ডোমেট্রিওসিস যেহেতু বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী, তাই যাদের এন্ডোমেট্রিওসিসের সমস্যা আছে, তাদের তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেওয়া উচিত। -সুত্রঃ রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল