নীরবতা; প্রতিশোধ

প্রকাশের সময় : 2019-07-25 18:12:00 | প্রকাশক : Administration
নীরবতা; প্রতিশোধ

আমি সেল্ফ মোটিভেটেড একটা মেয়ে; না ঠিক তা বলবো না। আমি নিজেকে মানুষ হিসেবে উল্লেখ করি। কেননা খারাপ সময়টা লিঙ্গ নির্ধারণ করে আসে না কখনোই। কোন একটা সময়ে (আচ্ছা খারাপ সময় বলি), দোষ থাকুক আর নাই থাকুক যখন দেখা যায় আঙুলটা সত্যিই আমার দিকে উঠছে, তখন নীরবতাটাই সবচে বড় অস্ত্র।

নীরবতার বাস্তবিক অর্থটা হচ্ছে চুপ থাকা। আর সুপ্ত অর্থ হচ্ছে ইগ্নোর করা। নীরবতা শক্তি দেয় খারাপ সময়ে নেগেটিভ মন্তব্যগুলোকে এড়িয়ে যাবার। এটা ভেতরের সত্ত্বাটাকে এমনভাবে জাগিয়ে দেয় যাতে করে দ্বিতীয়বার মাথাটা আর না নিচু করতে হয়। একটা নীরবতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাজারটা কথার উত্তর দেয়। নীরবতা হচ্ছে শেষ স্টেজের মহা প্রতিশোধ।

আমার মতে প্রতিশোধ মানে হচ্ছে স্কিল বাড়ানো, নিজের কর্মগুলোকে এমনভাবে সাজিয়ে স্টেপে স্টেপে সম্পন্ন করা যার ফলাফল একটা মর্যাদা, একটা সম্মান এনে দিতে পারে। কেউ আবার জোর করে নীরবতাটাকে চুপ করে বসে থাকা ভাববেন না। নীরব থেকে নিজের কাজ দ্বারা একটা প্রতিশোধ নিতে হবে এটা ভাববেন। নীরব থেকে নিজেকে এতটা যোগ্য করে তুলবেন যেন আড়ালে-আবডালে, প্রকাশ্যে গোপনে থাকা আমাদের অতি প্রিয় নিন্দুকেরা ঈর্ষার জলে হাবুডুবু খেতে খেতে কাতর হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার অন্যের সমালোচনা করার শক্তিটা যেন বিলীন হয়েই যায়। নীরবতার সুপ্ত অর্থের বিশ্লেষণটা হচ্ছে এমন যে নিজেকে দিয়ে অসম্ভব কোন কাজ করিয়ে ফেলা। এই যেমন প্রচুর বই পড়ে ফেলা, ম্যাথকে নখদর্পণে নিয়ে আসা, অনেক অনেক ইংরেজি শিখে ফেলা, কোন একটা কাজে সুক্ষ্ম দক্ষতা অর্জন করে ফেলা যেটাকে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা যায়। আরেকটা কথা হচ্ছে যে স্কিল বাড়ানোর ব্যাপারে সদা পেরেশানি থেকে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়; এটা প্রতিশোধ নেবার একটা প্লাস পয়েন্ট।

সবশেষে বলবো, নীরবতার যথার্থ উত্তরটা তখনই দেওয়া যায় যখন যোগ্যতাকে অর্জন করে হাতের মুঠোয় আনা যায়। নীরব থাকতে পারাটা একটা আর্ট, এইটা সবাই পারেনা। যিনি পারেন তিনি প্রতিশোধটা সহজেই নিতে পারেন। সবশেষে এটাই বলবো যে, যিনি গালি দিতে পারেন তিনি তর্ক করতে জানেন না। যিনি তর্ক করতে জানেন তিনি কখনো গালি দেন না। আর যিনি নীরব থাকতে পারেন যোগ্যতা অর্জন শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত, ইনশাল্লাহ উপরে উঠা থেকে তাকে কেউ দমাতে পারে না। সো উপরে উঠার চেষ্টা করুন। হুমায়রা তাবাসসুম সাবা, ১০ম শ্রেণী, রসুলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গফরগাঁও

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com