সংগ্রহেঃ ফেরদৌস আলম
হাতুড়ি দিয়ে কি রং করা হয়ঃ
বাড়ির দোতলায় মিস্ত্রি দিয়ে রং করাচ্ছিলেন বাড়িওয়ালা। কিছুক্ষণ পর তার মনে হলো, মিস্ত্রি খুব ধীরে ধীরে কাজ করছে। তাই রান্নাঘর থেকে উপর দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি-
বাড়িওয়ালাঃ কী, কাজ করছ তো, না-কি ফাঁকি দিচ্ছো?
মিস্ত্রিঃ না, কাজ করছি।
বাড়িওয়ালাঃ আমি তো কোনো আওয়াজ পাচ্ছি না।
মিস্ত্রিঃ হাতুড়ি দিয়ে তো আর রং করা হচ্ছে না; আওয়াজ পাবেন কীভাবে?
হোটেল ভাড়া করলে ওয়াইফ ফ্রিঃ
কক্সবাজার বেড়াতে গেছে পল্টু। রাতের বেলা সে তার হোটেলের ম্যানেজারকে বলছে-
পল্টুঃ হোটেল ভাড়া নেওয়ার সময় আমারে বলা হইছে ফ্রি ‘ওয়াইফ’ দেওয়া হইব। এখনো তো পাইলাম না।
ম্যানেজারঃ সরি স্যার, আসলে আপনি শুনতে ভুল করছেন। এটা ফ্রি ‘ওয়াইফ’ নয়, এটা হলো ফ্রি ‘ওয়াইফাই’।
মহাশূন্যে কী করা যায় না?
শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াচ্ছেন শিক্ষক। একসময়ে শিক্ষক ছাত্রকে বললেন-
শিক্ষকঃ বল তো লাল্টু, মহাশূন্যে কী করা যায় না?
লাল্টুঃ ফাঁসি দেওয়া যায় না স্যার।
চোর দেখে লুকালো বাড়িওয়ালাঃ
এক বাড়িতে চোর ঢুকলো। ঘরের ভেতরে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরও কিছুই পেল না। চোরটি আফসোস করতে করতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখতে পেল এক লোক দরজার আড়ালে মুখ লুকিয়ে আছে-
চোরঃ কে আপনি?
লোকঃ আমি বাড়িওয়ালা।
চোরঃ দরজার আড়ালে মুখ লুকাচ্ছেন কেন?
লোকঃ চুরি করতে এসে এতো খোঁজার পরও কিছুই পেলেন না। তাই লজ্জায় আপনাকে মুখ দেখাতে পারছি না।
জাল টাকার ভুল নোটঃ
এক লোকের পেশা জাল টাকা বানানো। টাকা বানাতে বানাতে সে ভুলে ১৪ টাকার একটি জাল নোট বানিয়ে ফেলল। সে এটি দিয়ে কী করবে চিন্তা করতে লাগল।
একদিন পাশের দোকানে গিয়ে বলল, ‘ভাই, এই ১৪ টাকার নোটের খুচরা হবে?’ দোকানদার বলল, ‘হবে।’ দোকানদার তাকে ১৪ টাকার খুচরা দিয়ে দিলো।
লোকটি খুচরা নিয়ে আনন্দে গান গাইতে গাইতে বাসায় এলো। পরে বের করে দেখলো ওই দোকানদার তাকে ৭ টাকার দুটি নোট দিয়ে দিয়েছে।