ওরা হাসি ফোটায়

প্রকাশের সময় : 2020-11-11 16:15:19 | প্রকাশক : Administration
ওরা হাসি ফোটায়

২০১৭ সালে মর্তুজা নাসির কলেজে পড়তেন। একদিন ভাবলেন, আড্ডাবাজিতে সময় নষ্ট না করে ভালো কাজে ব্যয় করলে কেমন হয়। ভাবনাটা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। ওঁরা ১১ জন। সবাই ইতিবাচক সাড়া দিলেন। ফলাফল সে বছরই ৫ মে যাত্রা শুরু করল ‘ব্রাইট ফাউন্ডেশন’। তখন রমজান চলছিল। সবাই মিলে ঠিক করলেন- সামনের ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন জামা কিনে দেবেন।

এই প্রজেক্টের নাম দিলেন ‘প্রজেক্ট এক চিলতে হাসি’। সেইবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা প্রায় ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। সে টাকা দিয়ে মিরপুরের ৫৩ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন পোশাক কিনে দেন। পোশাকের সঙ্গে প্রত্যেককে ঈদ সালামি দিয়েছিলেন তাঁরা। এ ছাড়া ৫০টি পরিবারকে ঈদের খাবার বিতরণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র মর্তুজা নাসির বললেন, “সেইবার ‘প্রজেক্ট ডিলাইট অব রমাদান’-এর অধীনে ৩৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু, এতিম, বৃদ্ধ মা-বাবাকে একসঙ্গে ইফতার করাই আমরা।

মোহাম্মদপুরে লিডো কিডস হোম নামে বাচ্চাদের একটি ইনস্টিটিউশন আছে। ওখানকার বেশির ভাগ শিশুর একেকজনের একেক রোগ। কারো মাথায় সমস্যা, কারো হাত নেই, কেউ আবার কথা বলতে পারে না। তাদের নিয়ে মেহেদী উৎসবেরও আয়োজন করেছেন তারা। উপহার হিসেবে নতুন পোশাক দিয়েছিলো তাদের। এ ছাড়া ৬০টি পরিবারের হাতে সেমাই-চিনি তুলে দিয়েছিলো সেইবার।’’

‘স্বচ্ছল’ প্রজেক্ট নিয়েও তারা অনেক কাজ করেন। কিশোরগঞ্জের শাফায়েত হোসেন থাকেন মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায়। অর্থাভাবে দিন কাটছিল তাঁর। ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ব্রাইট ফাউন্ডেশনের তরুণরা একটি রিকশা কিনে দেন তাঁকে। এখন রিকশা চালিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করছেন তিনি। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে লক্ষ্মীপুরের খাদিজা আক্তার। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফির টাকা ছিল না তার। এগিয়ে আসে ব্রাইট ফাউন্ডেশন।

রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াও খাদিজাকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দেয় তাঁরা। পাশাপাশি তার লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নেয়। সেলাই মেশিন দেওয়ার আগে চার মাস তাকে সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র ও সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার শাওন বললেন, “এ বছরের জানুয়ারিতে আমরা চালু করি ‘সচ্ছল’ প্রজেক্ট। সমাজে অনেক অসচ্ছল পরিবার আছে। এ ধরনের পরিবারগুলোকে সচ্ছল করার চেষ্টা করি আমরা।’

গত রমজানেও মিরপুরের কালশীর একটি মাদরাসায় এতিমদের ইফতার করিয়েছে তারা। ঈদের আগে প্রায় ১০০ জন শিশুর হাতে তুলে দিয়েছে নতুন পোশাক। শুরুতে সদস্য ছিল ১১ জন। এখন সেটা ৪৫। সবাই শিক্ষার্থী। প্রত্যেক সদস্য মাসিক ১০০ টাকা করে চাঁদা দেয়। এর বাইরে প্রতিটি প্রজেক্ট শুরু করার আগে সদস্যরা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেয়। পাশাপাশি তাঁদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত সজীব বলেন, ‘আমাদের কোনো ডোনারশিপ বা স্পন্সর নেই। আমাদের সদস্যরা চাঁদা দেয় এবং তাদের কাছের লোকদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। আর এভাবেই আমাদের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়।’ নতুন কেউ সদস্য হতে চাইলে ৩০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয়। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্রাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান তাঁরা। এ ছাড়া ‘ব্রাইট ব্লাডমেট’ নামে একটি অ্যাপস বানাতে চান, যার মাধ্যমে সহজেই রক্তদাতাদের তথ্য পাওয়া যাবে। - সূত্রঃ কালের কন্ঠ

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২৫২২০১৭, ৮৮০-২-৭৯১২৯২১
Email: simecnews@gmail.com