দুই তরুণের ডেলিভারি সার্ভিস
প্রকাশের সময় : 2020-11-11 16:23:19 | প্রকাশক : Administration
শেখ নাসির উদ্দিনঃ ‘আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়, পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়।’ কবি সুকান্তের কবিতার মত আঠারো বছর বয়সে করোনা মহামারীর কাছে মাথা নত করেননি তারা। তাই তো দুই তরুণ গড়ে তুলেছেন পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান। করোনা মহামারীর সময় সবাই যখন ঘরবন্দি। তখন অনলাইনে কেনাকাটা বেড়ে যায়।
সেই সাথে জন্ম নেয় নতুন নতুন অনলাইন শপ। কিন্তু সেই হারে সঠিক সময়ে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার মতো ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান বাড়েনি। অনলাইনে ক্রেতা-বিক্রেতা পণ্য নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাত্র এইচএসসি পাস করা তরুণ জুবায়ের হাসান ভাবেন, সঠিক সময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছে দেবেন।
কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন একজন। আর তাই সঙ্গী হিসাবে বেছে নিলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী কে এম ধ্র“বকে। এভাবেই গড়ে ওঠে একঝাঁক তরুণের ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ‘ফার্স্ট ফেইথ’। ঘরবন্দি সময়ে আশেপাশের অনেকে অনলাইনে ব্যবসা খুলে বসেন। তখন থেকেই জুবায়ের ভাবলো সেও কিছু একটা করবেন।
অনেকের সাথে কথা হয় তার। ঢাকা শহরে অনেকেই পণ্য ডেলিভারি করার মত নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন না। পেলেও সঠিক সময়ে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছাতে পারছেন না। তাই তিনি একটি ডেলিভারি সার্ভিস খুলে ফেললেন। বাধাহীনভাবে করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের ছুটে চলা।
এ বছরের জুলাইয়ে তাদের যাত্রা শুরু। লক্ষ্য হলো- কম মূল্যে সঠিক সময়ে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। এখন পুরো ঢাকা শহরে তারা পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। পরিবারের সহযোগিতা ছিল বলেই তারা আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিলেন। তাদের এই কর্মের মাধ্যমে অনেক তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের জীবন-যাপনকে সহজ করেছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জুবায়ের ও ধ্রুব এখন অনেক কিছু করতে পারেন। তাদের কর্মীরা সাইকেলের মাধ্যমে যথাসময়ে পণ্য পৌঁছে দেয়। তারা এ প্রতিষ্ঠানকে শুধু ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। -জাগোনিউজ২৪ডটকম