আশ্চর্য অ্যান্টার্কটিকার অজানা তথ্য
প্রকাশের সময় : 2021-02-17 14:14:55 | প্রকাশক : Administration
পৃথিবীর দুর্গমতম, উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম তথা নির্জনতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। এখানেই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল করে। এ মহাদেশ সম্পর্কে নতুন বেশ কিছু অজানা তথ্য :
* অ্যান্টার্কটিকায় কাজ করতে গেলে শরীর থেকে বাদ দিতে হবে আক্কেল দাঁত ও অ্যাপেনডিক্স। এ মহাদেশে শল্যচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং এখানে আসার আগেই ওই দুটির মায়া কাটিয়ে আসতে হবে।
* অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ড্রাই ভ্যালি অঞ্চল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে শুকনো এলাকা বলে চিহ্নিত।
* বেশ কিছু দেশের মতো যেমন অস্ট্রেলিয়ার .ধঁ বা জার্মানির .ফব অথবা ভারতের .রহ, অ্যান্টার্কটিকাও নিজস্ব ডোমেইন রয়েছে। তুষার রাজ্যের ডোমেইন হল .ধয়।
* ৫.৩ কোটি বছর আগে অ্যান্টার্কটিকার আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। সেই সময় এখানকার গড় তাপমান ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে সমুদ্রের তীর বরাবর পামগাছের সারি দেখা যেত।
* বিশ্বখ্যাত মার্কিন হেভি মেটাল রকব্যান্ড মেটালিকা অ্যান্টার্কটিকায় পারফর্ম করেছিল। তাদের জনপ্রিয় গান ঋৎববুব ঊস অষষ-এর শ্যুটিং হয়েছিল চিরতুষারের দেশে। উল্লেখ্য, মাত্র এক বছরে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে অনুষ্ঠান করে নজির গড়ে মেটালিকা।
* অ্যান্টার্কটিকাতেও রয়েছে পরমাণু চুল্লি। ১৯৬২ সাল থেকে এ মহাদেশের বুকে কাজ করে চলেছে মার্কিন পরমাণু চুল্লি ম্যাকমার্ডো স্টেশন।
* অ্যান্টার্কটিকার নিজস্ব দমকল বিভাগ রয়েছে। ম্যাকমার্ডো স্টেশনের ভেতরেই এ দপ্তর। আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পেশাদার দমকলকর্মীরা আছেন এখানে।
* চরম আবহাওয়া থাকা সত্তে¡ও অ্যান্টার্কটিকায় পাওয়া যায় ১ হাজার ১৫০ প্রজাতির ছত্রাক। বেশ কিছু প্রজাতি রীতিমতো নজরকাড়া। আসলে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়াতেও নিজেদের অনায়াসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ছত্রাক।
বিশ্বের প্রতিটি টাইমজোন পাওয়া যায় অ্যান্টার্কটিকায়। পৃথিবীর দুই মেরুতে এসে মিলেছে সময় বিভাজনকারী দ্রাঘিমা রেখা। স্বাভাবিকভাবেই এখানে রয়েছে দুনিয়ার সমস্ত টাইমজোনের উপস্থিতি।
অ্যান্টার্কটিকায় পোলার বিয়ার অর্থাৎ মেরু-ভালুক বাস করে না। এদের বসতি অ্যার্কটিক অঞ্চল অথবা কানাডায়। - সূত্র: অনলাইন