স্থাপত্যের নিদর্শন ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর

প্রকাশের সময় : 2021-11-03 13:02:06 | প্রকাশক : Administration
স্থাপত্যের নিদর্শন ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সাক্ষী হয়ে উঠেছে ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর। নতুন প্রজন্মের কাছে জ্ঞানার্জনের তথ্য-ভাণ্ডার এটি। তিনতলা বিশিষ্ট আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ও দৃষ্টিনন্দন এই জাদুঘর বাঙালির ঐতিহ্য আর চেতনার প্রতীক বলে মনে করছেন দর্শনার্থীরা। দৃষ্টিনন্দন এই স্বাধীনতা জাদুঘর গড়ে তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

২০১৮ সালে ২৫ জানুয়ারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকসহ যে কেউ ভোলায় এলেই একবার ছুটে যান ওই জাদুঘরে। জেলা শহরের উপশহর খ্যাত মুক্তিযুদ্ধের কালের সাক্ষী (যেখানে পাক সেনাদের আক্রমণ ও সম্মুখ যুদ্ধে মারা যান তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষ) ওই বাংলা বাজারেই জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়।

জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এমন একটি জাদুঘর তৈরির স্বপ্ন দেখছিলেন বহুকাল আগে থেকে। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ডঃ মুনতাসীর মামুনসহ বেশ কয়েকজন গবেষকদের সহায়তায় টানা তিন বছরের পরিকল্পনায় এর বিন্যাস গড়ে ওঠে। বর্তমানে নিরলস পরিশ্রমে জাদুঘরটি অন্যতম সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, দেশ বিভক্ত, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সবটাই স্থান পেয়েছে এ জাদুঘরে।

এতে তিনটি গ্যালারি রয়েছে। প্রথম তলার গ্যালারিতে এক পাশে ইতিহাস ঐতিহ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৪৭ এ দেশ ভাগ ও ভাষা আন্দোলনের দূর্লভ ছবি, তথ্য রয়েছে। অপর পাশে রয়েছে লাইব্রেরি ও গবেষণাগার। এছাড়া ওই একই তলায় রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে হল রুম। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ইতিহাসের মুহূর্তগুলোর চিত্রকল্প।

তৃতীয় তলায় রয়েছে যুক্তফ্রন্ট, ৫৮’র আন্দোলন, পাকিস্তানের সামরিক শাসন, ৬৬টির আন্দোলন, ৬৯’র গণ-আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ, ৭১ এর যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের দুর্লভ আলোকচিত্র। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সব ভাষণের অডিও ও ভিডিও ডিজিটাল প্রদর্শনী। এখানে আছে দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অর্জনের সাক্ষী জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদের সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র। রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের আলোকচিত্র। 

দর্শনার্থীরা ডিজিটাল টাচস্ক্রিন ব্যবহার করে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন মুহূর্তেই। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবস্থাপনায় জাদুঘরের প্রদর্শন দর্শনার্থীদেরও আকৃষ্ট করে। মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ‘স্বাধীনতা জাদুঘরে’। বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্যান্য দিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে এই জাদুঘর।

আগে ৫০০/৬০০ দর্শনার্থী এলেও বর্তমানে করোনার কারণে দর্শনার্থীরা কিছুটা কম। এ মাসে সংখ্যা আবার বেড়েছে। এখানে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ঢাকা-ভোলা রুটে আধুনিক মানের লঞ্চ চড়ে সরাসরি ভোলা খেয়াঘাটে বা ইলিশাঘাটে নামতে হবে। এখন রাতে ও দিনে লঞ্চ যোগযোগ রয়েছে। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২৫২২০১৭, ৮৮০-২-৭৯১২৯২১
Email: simecnews@gmail.com