মঙ্গলে যেতে যত বাঁধা

প্রকাশের সময় : 2021-11-17 15:27:16 | প্রকাশক : Administration
মঙ্গলে যেতে যত বাঁধা

মহাকাশে প্রথম গেল সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গাগারিন, ১৯৬১ সালে। যুক্তরাষ্ট্রই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? তারা চাঁদে পাঠাল মানুষ। আর্মস্ট্রং, অলড্রিন, কলিন্সের নামও চন্দ্রজয়ী হিসেবে লেখা হয়ে গেল ইতিহাসে। সেটা ১৯৬৯ সাল। সেখানেই কি থেমে গেল অভিযান? মোটেই না। চলতে থাকল।

জীবনটা সহজ করতে গিয়ে তা জটিল করে ফেলেছে মানুষ। বাতাসে মিশে গেছে প্রাণনাশকারী জীবাণু। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে পৃথিবী। আর এর জলবায়ু শুরু করেছে উল্টো আচরণ। কোথাও দাউ দাউ আগুনে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি, কোথাও বানের জলে ভেসে যাচ্ছে হাজার হাজার স্বপ্ন। পৃথিবীটা যে ক্রমশই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে, সে অনুমান করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিকল্প খুঁজতে তাঁরা নজর দিয়েছেন মহাকাশে। জানা-অজানা নক্ষত্র রাজিতেই খুঁজতে হবে নতুন আবাস। রাতের আকাশে জ্বলতে থাকা তারায় সংসার করার স্বপ্নও থাকছে মনে।

দীর্ঘ গবেষণায় স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। আগেই তো বলা হলো, চাঁদের বুকে পা রেখেছে মানুষ। নভোযান পাঠিয়েছে বিভিন্ন গ্রহে। কিন্তু বিকল্প কোনো গ্রহে যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান পাঠিয়ে জানতে পেরেছেন, পৃথিবীর আশপাশে থাকা গ্রহের মধ্যে মঙ্গল গ্রহ হয়ে উঠতে পারে বসবাসের উপযুক্ত স্থান। প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজা হচ্ছে সেখানে। সে কাজটি করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পারসিভারেন্স রোভার।

নাসা বলছে, প্রধান বাধা প্রযুক্তিগত অক্ষমতা। মঙ্গলে মানুষের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত কোনো যান এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলের আবহাওয়া মানুষের দেহে কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটি এখনো কেউ জানে না। কেউ জানে না, ধোঁয়াশা তৈরি করা এই গ্রহের জলবায়ু মানবদেহের জন্য কতটা সহায়ক হবে। আর মঙ্গলে গিয়ে মানুষ খাবে কি সেটাও এখনো ধাঁধা।

আরও একটা ব্যাপার হলো, মঙ্গল আর পৃথিবীর দূরত্ব। নাসার মঙ্গল স্থাপত্য দল ও জনসন মহাকাশ কেন্দ্রের পরিচালক মিশেল রাকার জানান, গ্রহটির সবচেয়ে কাছের দিকটা পৃথিবী থেকে সাড়ে ৫ কোটি কিলোমিটার দূরে। আর দূরত্বও সব সময় এক থাকে না। তাই ইচ্ছে হলেই সেখানে যাওয়া যাবে না। নাসার অন্যতম প্রধান প্রকৌশলী এবং মহাকাশ মিশনের অন্যতম সদস্য জেফরি সেহি জানান, ১৫ বছর পর পর সবচেয়ে সহজ পথ তৈরি হয়। এমন সুযোগ আগামী দশকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখনই যাত্রার ব্যবস্থা করা উচিত হবে।

মহাকাশে মানুষের অভিযানে যেসব জ্বালানি ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো দীর্ঘ পথে যাওয়ার উপযুক্ত নয়। মঙ্গলের মাটি কিন্তু এবড়ো-থেবড়ো! সেখানে অবতরণে থাকে ঝুঁকি, একটু এদিক-ওদিক হলেই ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যাবে। নাসা বিশেষ প্যারাসুট বানাচ্ছে সংস্থাটি। - সূত্র: অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২৫২২০১৭, ৮৮০-২-৭৯১২৯২১
Email: simecnews@gmail.com