শীতে ভ্রমণের জন্য কয়েকটি স্থান
প্রকাশের সময় : 2021-12-16 08:57:04 | প্রকাশক : Administration
সবুজের চাঁদরে মোড়ানো আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে এদেশে। বিচিত্র এই প্রকৃতি যেনো তার সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে সবাইকে। এই শীতে চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন দেশের কিছু দর্শনীয় স্থান থেকে:-
শ্রীমঙ্গল: চায়ের জন্য বিখ্যাত শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী বলা হয়। চা বাগানের সবুজ যেন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলা জুড়ে। চা বাগানের বাংলো, রিসোর্টে বসে উপভোগ করতে পারবেন কুয়াশামাখা ভোর। সঙ্গে এক কাপ চা হলে তা হয়ে উঠবে আরও রোমাঞ্চকর।
পঞ্চগড়: বাংলাদেশের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। প্রতিবছর শীতের সময় বাংলাদেশ থেকে দেখা মেলে এই পর্বতের। পঞ্চগড় ও তেতুলিয়া থেকে স্পষ্টভাবে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। মারায়ন তং: বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার মিরিঞ্জা রেঞ্জে অবস্থিত একটি পাহাড় মারায়ন তং। ত্রিপুরা , মারমা, মুরংসহ বেশকিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বসবাস এই পাহাড়ে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬৪০ ফুট উচ্চতায় মারায়ন তংয়ের চূড়া অবস্থিত। শীতের এই সময় সাদা মেঘে ঢেকে যায় পাহাড়ের চূড়া।
নাফাখুম: বাংলাদেশের নায়াগ্রাখ্যাত জলপ্রপাত নাফাখুম। বর্ষায় ভয়ংকর রূপে থাকলেও শীতে অনেকটাই শান্ত হয়ে যায়। এডভেঞ্জারপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের কাছে তাই পছন্দের নাম নাফাখুম। এই জলপ্রপাত দেখতে যেতে হবে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায়।
চর কুকরি মুকরি: ভোলা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি দ্বীপ কুকরি মুকরি। বর্ষায় ডুবে থাকলেও শীতে এই চর ভেসে উঠে। বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও বৃহৎ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এই দ্বীপ।
সেন্টমার্টিন: বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর- পূর্বাংশে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়রা নারিকেল জিঞ্জিরাও বলে। নীল আকাশের সঙ্গে সমুদ্রের নীল জলের মিতালি, সারি সারি নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে করেছে অনন্য।
কুতুবদিয়া দ্বীপ: নানা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাগরের বুকে কুতুবদিয়া জেগে উঠে। এ দ্বীপে গেলে দেখা মিলবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদুৎ কেন্দ্রের। সূত্র: অনলাইন