ভুলভাল সিদ্ধান্ত ডুবিয়ে দিতে পারে
প্রকাশের সময় : 2022-09-28 14:18:35 | প্রকাশক : Administration
অনুপম দেব কানুনজ্ঞ: বাংলাদেশ ‘শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে’- বলে চিৎকার করার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার পেছনে কারণ একটা না, বরং অজস্র। এখন যে অর্থনৈতিক সঙ্কট, সেটা কেবল বাংলাদেশের ব্যাপার না। জার্মানিসহ পুরো পৃথিবীই এখন মহামারি কাটিয়ে ওঠে যুদ্ধের কবলে পড়েছে। অনেক দেশেই মুদ্রার মান কমছে, রপ্তানি ও বাণিজ্য কমেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে, মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছাড়াচ্ছে, রিজার্ভে টান পড়ছে ইত্যাদি।
তবে এমন বৈশ্বিক সঙ্কটের সময় নিজেদের সামলে রাখা এবং দ্রুত তা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেটাই হওয়া উচিত আসল আলোচনার বিষয়। বিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ নিলে এখন সাময়িক অবনমন ঘটলেও সেটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু ভুলভাল সিদ্ধান্ত দ্রুতগতিতে ডুবিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশকে।
অর্থনীতির সব সূচক ভালো থাকার পরও শ্রীলঙ্কার দ্রুত পতনের পেছনে দায়ী গোষ্ঠীতন্ত্র। তারা গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি করেছিল। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি। শ্রীলঙ্কার সফল একজন গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। কারণ সরকার গভর্নরের কোনো কথা শোনেনি। সেখানে যা কিছু করেছে, রাজাবাদশাহরা করেছেন। তাঁরা যা করতে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাই করেছে। আমরা শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নেবো। তারা সময়মতো সমস্যাগুলো এড্রেস করেনি। অনেক দিন থেকে তাদের সমস্যা ছিল। শ্রীলঙ্কায় অনেক বুদ্ধিমান মানুষ আছেন, অনেক বিজ্ঞ লোক আছেন। তাঁদের কথা শ্রীলঙ্কার সরকার শোনেনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে: [১] বাংলাদেশে কি গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি হয়েছে? [২] বাংলাদেশে কি রাজা-বাদশাহদের কথামতো অর্থনীতি চলছে, নাকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শও সরকার শোনে? [৩] বাংলাদেশে কি সময়মতো সমস্যাগুলো এড্রেস করা হচ্ছে? [৪] বাংলাদেশেও নিশ্চয়ই অনেক বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞ মানুষ রয়েছেন। তাদের পরামর্শ কি সরকার শুনছে, নাকি তাদের শত্রু“জ্ঞান করে দূরে ঠেলে দিচ্ছে? আমি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ না। ফলে এসব অর্থনীতির হ্যাঁ-না উত্তর বিশেষজ্ঞদের ওপরেই ছেড়ে দিলাম। তবে সাংবাদিক হিসাবে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করাটা পেশাগত দায়িত্ব বলেই মনে করি। - লেখক: সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে - সংগৃহিত