আসছে নির্বাচন; ভাসছে শত কথা

প্রকাশের সময় : 2018-09-26 15:46:03 | প্রকাশক : Admin
�আসছে নির্বাচন; ভাসছে শত কথা

 সিমেক ডেস্কঃ আমাদের বেশির ভাগ জনদরদী(!) রাজনীতিকদের অবস্থা এখন ভালো নয়। সামনেই সংসদ নির্বাচন, তাই বর্তমানের বেশির ভাগ আলোচনা নির্বাচন কেন্দ্রিক। তবে সদ্য বিদায়ী বছরটিতে রোহিঙ্গা সংকট, গুম-খুন অথবা দ্রব্যমূল্য, এই বিষয়গুলিই ছিল বাংলাদেশের মূল আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এতদিন যে ইস্যুই বাংলাদেশের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করুক না কেন; এ বছর সবকিছুকেই সম্ভবত ছাপিয়ে যাবে নির্বাচন।

আশেপাশে তাকালে, কথা বললে বুঝি যে, খেটে খাওয়া মানুষ, ব্যবসায়ী বা রাজনীতির      বিশ্লেষক- সবাই যেন নির্বাচনকে ঘিরে একটা গরম রাজনীতির জন্য অপেক্ষা করে আছেন। আর জাতীয় রাজনীতি ও নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক প্রত্যাশা। কিন্তু প্রত্যাশিত আগত নির্বাচনটি প্রত্যাশা পূরণে কতোটা ভূমিকা রাখবে সেটাই দেখার বিষয়।

কেননা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে রয়েছে নানা রকম চ্যালেঞ্জ। সেটি সাধারণ মানুষের জীবনে ঠিক কি বয়ে আনবে সেটা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে মানুষের মনে। নির্বাচন আয়োজনের জন্য সময় এখন কয়েক মাস। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েই এখনো বিপরীত অবস্থানে আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।

দু’দলকে এখনো পর্যন্ত আলোচনার জন্য এক টেবিলে আনা যায়নি। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আর সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করিতে হইবে।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর ৯০ দিন আগে অর্থাৎ আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, তফসিল ঘোষণা, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র আহ্বান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করতে হবে।

সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ হচ্ছে যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে সংসদ বহাল রেখে সরকারের রুটিন ওয়ার্ক পরিচালনা এবং নির্বাচন কমিশনকে অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে এর আগেও চমক হিসেবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। চমকটি নির্ভর করছে পুরোপুরি ক্ষমতাসীন দল ও মহলের ওপর। 

আগামী নির্বাচন কতোটা কেমন হবে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি। যারা সেবক হয়ে জনগণের তথা দেশের জন্যে কাজ করছেন তাঁরা সহজেই উৎরে যাবেন। জনগণও অপেক্ষায় আছে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেবার। জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েও যারা সেই সুযোগের অপব্যবহার করেছে, সমুচিত জবাব তো তাদের প্রাপ্যই। তারা সুযোগের কতটা অপব্যবহার করেছে তা একটি বানানো গল্প দিয়েই বোঝানো যায়।

অনেক দিন নিজের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া হয় না সাংসদ মোকলেস মিয়ার। নির্বাচন প্রায় চলে এল। তাই চিন্তা করলেন নিজ এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করবেন, মিথ্যা আজগুবি স্বপ্ন দেখাবেন সবাইকে। তাই সাথে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় গেলেন। দিনভর নানাজনের সঙ্গে দেখা করলেন, কোলাকুলি করলেন, চা খেলেন, খাওয়ালেন। বিকেলে এক স্কুলমাঠে বিরাট সমাবেশে দীর্ঘ বক্তৃতাও করলেন, দিলেন অনেক প্রতিশ্রুতি। আসার সময় রাস্তার পাশে দেখতে পেলেন এক লোক বসে বসে ঘাস খাচ্ছে। মোকলেস মিয়া গাড়ি থামিয়ে কাছে গিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি ঘাস খাচ্ছেন নাকি?’

জি হুজুর! ক্ষুধার কষ্টে ঘাস খাচ্ছি, গত কয়েক দিন ধরে ঘাস খেয়েই বেঁচে আছি।

আচ্ছা ঠিক আছে, আমার সঙ্গে শহরে চলেন।

হুজুর, আপনার দয়া! আমার স্ত্রীও পাশে ঘাস খাচ্ছে!

আচ্ছা তাকেও সঙ্গে নিয়ে আসুন!

হুজুর, আপনি দয়ার সাগর! কিন্তু হুজুর, আমার দুটি সন্তানও আছে, তারা ঘাস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে!

আচ্ছা আচ্ছা, ওদেরও সঙ্গে নিয়ে আসুন!

আবেগে আপ্লুত লোকটি কেঁদে দিল। বলল, ‘হুজুর আমরা চারজন মানুষ, আপনার সমস্যা হবে না তো?’

আরে নাহ! আমার বাড়ির ঘাস প্রায় এক হাঁটু লম্বা হয়ে আছে!

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২৫২২০১৭, ৮৮০-২-৭৯১২৯২১
Email: simecnews@gmail.com