যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ; পাঁচ পাতাল রেল

প্রকাশের সময় : 2019-08-07 15:20:26 | প্রকাশক : Administration
যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ; পাঁচ পাতাল রেল

সিমেক ডেস্কঃ যানজটে অসহনীয় হয়ে উঠছে রাজধানীর জনজীবন। অপচয় হচ্ছে শত শত কর্মঘণ্টা। সেই সঙ্গে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। কেননা শহরগুলোই হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির মূল নিয়ামক। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবদান সবচেয়ে বেশি। এসব বিবেচনায় রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে বৃহত্তর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

ঢাকার ৫টি রুটে নির্মাণ করা হবে সাবওয়ে (পাতাল রেল)। এ উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে মাটির নিচ দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

ফলে ভূমির ওপরে জনসংখ্যার চাপ কমবে। ফাঁকা জায়গার পরিমাণ বাড়বে। এতে রাজধানীর পরিবেশ আরও উন্নত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য সেতু কর্তৃপক্ষ ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর কনস্ট্রাকশন অব সাবওয়ে ইন ঢাকা সিটি’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

যানজট কাটিয়ে নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছানোর সবচেয়ে আধুনিক বাহন হলো পাতাল রেল। ঢাকায় জনসংখ্যা ও যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজটের ভোগান্তি। তাই যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান এই ধারা অব্যাহত থাকলে প্রায় দুই কোটি মানুষের নগরী দিন দিন আরও অচলের ধারায় যাবে। বাড়বে যানজটের মাত্রা। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হাঁটার গতি আর গণপরিবহনের গতি সমান হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরীর যানজট সমস্যা নিরসনে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইনের আওতায় রাজধানীতে পাঁচটি পাতাল-এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে সবকটি মেট্রোরেলের রুট ঠিক করা হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব লাইন চালুর কথা জানিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীতে পাতাল রেলে যাতায়াত শুরু হবে। মাটির ৫০ ফুট নিচে নির্মাণ হবে লাইন। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে, নগরী হবে যানজটমুক্ত।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি লাইনের মধ্যে ৩১ কিলোমিটারের বেশি এমআরটি-১ দুই ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত একটি, অপরটি নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত। গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার হবে এমআরটি-দুই। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এমআরটি-পাঁচ (উত্তর), গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের বেশি এমআরটি-পাঁচ (দক্ষিণ), কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এমআরটি-৪ লাইন চূড়ান্ত হয়েছে।

লাইন ১, ২, ৪ ও ৫-এর আওতায় উড়াল ট্রেনের পাশাপাশি পাঁচটি পাতাল মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে ১০৯ কিলোমিটার পথ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সিদ্দিক জানান, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নগরবাসী পাতাল রেলে চড়তে পারবেন। আমরা আশাবাদী ২০৩০ সালের মধ্যে সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, নগরীর সব ভবনের ডিজাইন এক রকম নয়। তাই লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে যেসব পয়েন্টে পাতাল লাইন হবে সেখানে ৫০ ফুট মাটির নিচে হবে নির্মাণ কাজ।

তিনি বলেন, মহানগরীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে মেট্রোরেল লাইন-৫ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লাইনের মাধ্যমে দুটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি সাউথ (দক্ষিণ) রুট ও অন্যটি নর্থ (উত্তর) রুট। নর্থ রুটের আওতায় ২০২৮ সালের মধ্যে উড়াল ও পাতাল রেলের সমন্বয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে পূর্বে ভাটারা থানা পর্যন্ত এই রুটটি নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরীর যানজট সমস্যা কমে আসবে বলে মনে করে সাবেক এই সড়ক সচিব।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২৫২২০১৭, ৮৮০-২-৭৯১২৯২১
Email: simecnews@gmail.com